প্রথম নিউজ, খেলা ডেস্ক: চট্টগ্রামে অনুষ্ঠেয় সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের দ্বিতীয় দিনে শুরুতে জিম্বাবুয়েকে কোন রান যোগ করতে না দিয়ে অলআউট করে বাংলাদেশ। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ৩ উইকেটে ২০৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের চা-বিরতিতে গিয়েছিল শান্তর দল। স্বাগতিকদের সামনে সুযোগ ছিল বড় রানের লিড নেওয়ার। কিন্তু শেষ সেশনে এসে ব্যাটিংয়ে ছন্দপতন ঘটেছে টাইগারদের। এই সেশনে ৩০ ওভারে মাত্র ৮৬ রান তুলতে গিয়ে ৪টি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। ২৫৯ থেকে ২৭৯-এই ২০ রানের মধ্যেই ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট খুইয়েছে শান্তবাহিনী।
এদিন দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলতে নামা এনামুল হক বিজয় ৩৯ রানে আউট হওয়ার আগে তাকে সাথে নিয়ে ১১৮ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন সাদমান। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ওপেনিং জুটিতে এটি ১৫তম শতরানের পার্টনারশিপ। জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস থেকে তারা ২৩ রানে পিছিয়ে আছে। ১২০ রানে সাদমান তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে বেননেটের বলে এলবিডব্লিউ আউট হয়ে ফেরেন।
এর আগে মুমিনুল হক ৩৩ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। পরপর দুই উইকেট হারানোর পর শান্ত ও মুশফিক ৬৫ রানের জুটি গড়ে দলকে লিড এনে দেন। তবে দলীয় ২৫৯ রানের মাথায় শান্ত ২৩ করে সাজঘরে ফিরলে জাকের ৫, মুশফিক ৪০ ও নাঈম হাসান ৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে ২৭৯ রানের মাথায় সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
এরপর আর কোন উইকেট পড়তে দেননি মেহেদী মিরাজ (১৬) এবং তাইজুল ইসলাম ৫*। বুধবার ৩ উইকেট হাতে নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামবেন এই দুই ব্যাটার।
এর আগে, সোমবার (২৮ এপ্রিল) টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করে দুই রোডেশিয়ান ওপেনার ব্রায়ান বেনেট ও বেন কুরান। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি দুজনের কেউই। ৩৩ বলে ২১ রান করে অভিষিক্ত তানজিম সাকিবের প্রথম শিকার হন বেনেট। ৫০ বলে ২১ রান করে তাকে সঙ্গ দেন কুরানও।
চতুর্থ উইকেটে নিকোলাস ওয়েলচকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন অভিজ্ঞ শন উইলিয়ামস। ১০৭ বলে ফিফটি তুলে নেন ওয়েলচ। এরপর আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। আর ১১৪ বলে অর্ধশতকের দেখা পান উইলিয়ামস। ১৬৬ বলে ৬৭ রান করে উইলিয়ামস আউট হলে খেলায় ফেরে টাইগাররা। মাঝে ওয়েসলি মাধেভেরেকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন টাফাডজোয়া সিগা। কিন্তু মাধেভেরে ১৫ রান করে আউট হলে উইকেট মিছিল শুরু করে বাকিরা।
ওয়েলিংটন মাসাকাদজা (৬), রিচার্ড এনগারাভা (০), ভিনসেন্ট মাসেকেসা ৮ রানে আউট হলেও শেষ দিকে আবারও পিচে আসেন নিকোলাস ওয়েলচ। ৫৪ রান করা এই ব্যাটারকে দিনের শেষ বলে আউট করে নিজের ফাইফার তুলে নেন তাইজুল ইসলাম। এতে প্রথম দিনের ৯০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান তোলে জিম্বাবুয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট শিকার করেন তাইজুল ইসলাম। এ ছাড়াও নাইম হাসান দুটি এবং অভিষিক্ত তানজিম সাকিব শিকার করেন এক উইকেট।