মিশরের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ ইসরাইলের

প্রথম নিউজ, অনলাইন: চীনা বিমান বাহিনীর সহায়তায় ইসরাইলের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করছে মিশর। কায়ারোর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলেছে একটি ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম।
ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম নাতসিভ.নেট দাবি করেছে, যৌথ প্রশিক্ষণ মহড়ার অংশ হিসেবে উচ্চ মিশরে চীনা বিমান আসার পর মিশর দক্ষিণ ফ্রন্টে ইসরাইলি সিস্টেমের সক্ষমতা পরীক্ষা শুরু করেছে। যেসব সরঞ্জাম এসেছে তার মধ্যে রয়েছে একটি চীনা প্রাথমিক সতর্কীকরণ বিমান, যা বেনি সুয়েফ সামরিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, চীনা প্রাথমিক সতর্কীকরণ বিমানটি সিনাই এবং ইসরাইলের আকাশসীমায় ঘটনাবলীর রিয়েল-টাইম আকাশসীমায় দৃশ্যমানতা প্রদান করতে সক্ষম। যার ফলে মিশর ইসরাইলের সামরিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম।
ওয়েবসাইটটি দাবি করেছে, চীন ইসরাইলি সীমান্তের কাছে ‘উস্কানিমূলক’ বিমান চালিয়েছে, ইসরাইলি সতর্কতা ব্যবস্থা সক্রিয় করেছে। অন্যদিকে চীনা প্রাথমিক সতর্কীকরণ বিমানটি ইসরাইলি প্রতিক্রিয়া রেকর্ড করেছে।
প্রতিবেদনে এই পদক্ষেপকে মিশর-ইসরাইল শান্তি চুক্তির ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং চুক্তির গ্যারান্টার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীরবতার প্রতি বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে হাইফা বন্দরের মতো তার ভূখণ্ডে চীনা স্বার্থের প্রতি সাড়া দেওয়ার জন্য ইসরাইলকে আহ্বান জানান হয়েছে। জোর দিয়ে বলা হয়েছে, ইসরাইল তাইওয়ান নয়, এই ধরনের উস্কানি সহ্য করা উচিত নয়।
প্রতিবেদনটি এমন এক সময়ে প্রকাশিত হলো যখন এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে মিশর এবং চীন যৌথ বিমান মহড়া চালাচ্ছে।
এ অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক প্রতিবাদ জানায়নি ইসরাইল।