আইসিইউতে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রীকে যৌন হেনস্তা ওয়ার্ডবয়ের

রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বড় ভাই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও বার্তায় ঘটনার বর্ণনা করে বিচার দাবি করেছেন। 

আইসিইউতে চিকিৎসাধীন কলেজছাত্রীকে যৌন হেনস্তা ওয়ার্ডবয়ের

প্রথম নিউজ, কুমিল্লা: কুমিল্লা শহরের কান্দিরপাড়ে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) এক কলেজছাত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালটির ওয়ার্ডবয় দীপক চন্দ্রের বিরুদ্ধে।

রোববার (২০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রীর বড় ভাই তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে ভিডিও বার্তায় ঘটনার বর্ণনা করে বিচার দাবি করেছেন। 

ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) কুমিল্লা টাওয়ার হাসপাতালে ঘটে যাওয়া এক ভয়ঙ্কর ঘটনা আজ আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। শেষ রাতের দিকে আমার বোন যখন কান্নাকাটি করতে থাকে, ভেতর থেকে তার সঙ্গে দেখা করতে বললে, আমরা দেখা করতে যাই। তখন সে কান্না করতে করতে আমাদের জানায়, দীপক নামে এক ওয়ার্ডবয় তার শরীরে একাধিকবার স্পর্শ করেছে। আমার পক্ষে আসলে এটা বর্ণনা করা সম্ভব নয়।

তারপর আমরা ঘটনাটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যেন দায়সারাভাবে আছে। তারা এমন ভাব করছেন যেন এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে, আমরা শুধু রিয়্যাক্ট করলাম। অভিযুক্ত ব্যক্তি ২০১৩ সাল থেকে চাকরি করছেন। যদি দীপক প্রথম দিক থেকে আইসিইউতে থেকে থাকে, তাহলে সে প্রায়ই এই কাজগুলো করেছে। দীপকরা যেসব হাসপাতালে আছেন, আমার মা-বোনরা হয়তো তাদের অত্যাচার-অনাচারের শিকার হচ্ছেন। আমার এই ভিডিওর মাধ্যমে সতর্ক করাই মূল উদ্দেশ্য।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই সাংবাদিকদের বলেন, শুক্রবার আমার বোন অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে আমরা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ইউনিটে নিয়ে যাই। এ সময় সেখানে একজন চিকিৎসক আইসিইউতে নিয়ে যেতে বলেন। তখন আমরা আইসিইউতে নিয়ে যাই। সেখানে বিকেল থেকে পরের দিন সকাল পর্যন্ত ছিল সে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার শেষ রাতের দিকে বোনের কান্নার কথা জানিয়ে দায়িত্বরতরা আমাদের ভেতরে যেতে দেন। ভেতরে গেলে বোন জানায়, আইসিইউতে শেষ রাতের দিকে এক ব্যক্তি তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে স্পর্শ করে। তার নাম দীপক। সে হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়। এই কারণেই সেখানে অসুস্থ বোন আমার কান্না করছিল। আমার বোন রোববার আবার অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে। সে বিষয়টা মেনে নিতেই পারছে না। তবে টাওয়ার হাসপাতালে আমরা অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তারা নাকি তদন্ত কমিটিও করছে।

কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগীর পরিবার বিষয়টি জানানোর পরই অভিযুক্ত ওয়ার্ডবয়কে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাধ্যমে সে সময় আইসিইউতে দায়িত্বরত সবাইকে শোকজ করা হয়েছে। আইসিইউতে ডাক্তার ও নার্স আলাদা রয়েছে। দীপক তাদের সাহায্যে নিয়োজিত ছিলেন।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোর্শেদ  বলেন, এ ঘটনায় এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom