যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে এনসিপি নেতাসহ আটক ৪

প্রথম নিউজ, কক্সবাজার : কক্সবাজার সদরে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে এনসিপির স্থানীয় এক নেতাসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, যুবককে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে মাছ চুরির মিথ্যা অপবাদে পিটিয়ে হত্যা করেছে। রবিবার (৪ মে) মধ্যরাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুশকুল ইউনিয়নের আল্লাওয়ালা নামে একটি হ্যাচারিতে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত আলী আকবর কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল ইউনিয়নের কুলিয়াপাড়ার বাসিন্দা আলী আহমদের ছেলে।
তবে অভিযুক্তদের দাবি, আল্লাওয়ালা হ্যাচারিতে চুরির সময় ধরা পড়ে ওই যুবক। পরে হ্যাচারির নৈশপ্রহরীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে চেষ্টা করলে ওই যুবক মারা যায়। ঘটনায় আটকরা হলেন- রাইয়ান কাশেম, তার চাচা তানভীর কাশেম এবং হ্যাচারির নৈশপ্রহরী মোহাম্মদ হোসাইন ও মো. মিজান। রাইয়ান কাশেম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির কক্সবাজারের সক্রিয় নেতা। এছাড়া তিনি আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কাশেমের ছেলে।
ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর রাত ১টায় মরদেহ উদ্ধারের সময় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। পরে উত্তেজিত জনতা হ্যাচারির মালিকের ছেলে রাইয়ান কাশেমকে মারধর করে। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের দাবি, মাছ চুরির অপবাদে আলী আকবরকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
তবে এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেম দাবি করেন, তাদের হ্যাচারিতে চুরির করার সময় আলী আকবরকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা প্রহরীরা। পরে আলী আকবর আঘাত করলে আত্মরক্ষার্থে নিরাপত্তা প্রহরীরা পাল্টা আঘাত করে। এতে মারা যান তিনি।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক রাইয়ান কাশেম, তানভীর কাশেম, হোসাইন ও মিজান নামের ৪ জনকে আটক করা হয়। তদন্ত সাপেক্ষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি বলেন, এনসিপি নেতা রাইয়ান কাশেমকে জনরোষ থেকে রক্ষা করার জন্য পুলিশ হেফাজতে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে এসে হাসপাতালে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেলে মামলায় আসামি করা হবে। নিহতের লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রয়েছে বলে জানান ইলিয়াছ খান।