শুকনো মৌসুমেও ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি-বসতভিটা

শুকনো মৌসুমেও ব্রহ্মপুত্রে ভাঙন, বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি-বসতভিটা

প্রথম নিউজ, কুড়িগ্রাম: অসময়ে কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েছে নদ তীরবর্তী মানুষ। গত তিনদিনে উপজেলার রসুলপুর এলাকায় ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে ৭০ বিঘা ফসলি জমি, গ্রামীণ সড়ক ও সাতটি বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের কারণে হুমকিতে রয়েছে রসুলপুর মার্কাজ জামে মসজিদ, রসুলপুর রোস্তম আলী নূরানি হাফিজিয়া মাদরাসা, রসুলপুর ঈদগাহ মাঠসহ বসতঘর। স্থানীয়রা জানান, কয়েক বছর ধরেই বর্ষা মৌসুমে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনের শিকার বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ও হাতিয়া ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের মানুষ। বছরের পর বছর ভাঙনে কৃষিজমি, ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই অসহায় দিন কাটাচ্ছেন। এতদিন ভাঙন হতো বর্ষা মৌসুমে। তবে এখন নদী ভাঙছে শুষ্ক মৌসুমে। নদীতে পানির স্রোত নেই, অথচ পাড় ভাঙছে।

ভাঙনকবলিত রসুলপুর এলাকার মিজানুর রহমান, নায়েব আলী, সাহেব আলী, হেলাল উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, রায়হান মিয়া, নুর আলমসহ অনেকের অভিযোগ, বিভিন্ন সময় অবৈধভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর দিক পরিবর্তন হয়েছে। ফলে অসময়ে নদী ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিন বেগমগঞ্জ ইউনিয়ন মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম বলেন, গত তিনদিনে আমার বাড়িসহ সাতজনের বাড়ি ও প্রায় শত বিঘা জমি ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। এখন শুকনো মৌসুম, এ সময়ে ভাঙনরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, খবর পেয়ে ওই এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। ভাঙনরোধে সেখানে ৫০০ জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কাজ চলমান।