মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি

মানববন্ধন থেকে আগামী শনিবার দেশের সব মহানগরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি
মানববন্ধন থেকে হুঁশিয়ারি

প্রথম নিউজ, অনলাইন : সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের সব জেলা ও মহানগরে মানববন্ধন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। মানববন্ধন থেকে আগামী শনিবার দেশের সব মহানগরে সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি’র পক্ষ থেকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থেকে উত্তরা পর্যন্ত সড়কে দীর্ঘ মানববন্ধন করা হয়। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য রাখেন। নয়া পল্টন ও বাড্ডায় দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন থেকে বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার ১০ দফা দাবি না মানলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এক দফার আন্দোলন শুরু হবে।  বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে গতকাল বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সারা দেশে সব জেলা ও মহানগরে একযোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। 

নয়া পল্টনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি’র দেশব্যাপী গড়ে ওঠা আন্দোলনের মুহূর্তে সরকার নতুন করে সাম্প্রদায়িক চক্রান্ত শুরু করেছে। পঞ্চগড়ে আহমদিয়া জামাতের বার্ষিক জলসায় হামলার ঘটনার জন্য পুরোপুরি সরকার দায়ী। পঞ্চগড়ে সাম্প্রদায়িক ঘটনা সৃষ্টি করার জন্য তারা (সরকার) অনুমতি দিয়েছে, নীরব ভূমিকা পালন করেছে। আবার সেই ঘটনার পর বিএনপি’র ১৮১ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। এভাবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে দেশের মানুষকে বোকা বানানো যাবে না। গায়েবি মামলা দিয়ে ক্ষমতায় বেশি দিন টিকে থাকা যাবে না। সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মানুষের ধৈর্যেরও সীমা আছে। মানুষও দেখবে এভাবে কতোদিন মানুষকে বোকা বানিয়ে আপনারা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চান। তারপর সব মানুষ একসঙ্গে জেগে উঠে, একেবারে উত্তাল তরঙ্গের মতো আপনাদের ভাসিয়ে নিয়ে যাবে।

 সেদিন পালানোর পথ খুঁজে পাবেন না। বিএনপি’র মহাসচিব বলেন, বর্তমান সরকারের ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জেগেছে। সেই নীলনকশা নিয়েই তারা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো একই কায়দায় ২০২৩ সালের নির্বাচন করতে চায়। কিন্তু মানুষ এবার তা হতে দেবে না। উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে জনগণ এদের পরাজিত করবে। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলছি-বিএনপি এ সরকারের অধীন, হাসিনা সরকারের অধীন, এই নির্বাচন কমিশনের অধীন কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না।  এজন্য আমরা আন্দোলন শুরু করেছি। এই আন্দোলনে আমরা ১০ দফা দিয়েছি। এই ১০ দফার মধ্যে আমরা পরিষ্কার বলেছি যে, সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। একটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে একটা নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচন করতে হবে। চলমান যুগপৎ আন্দোলনে মানুষকে আরও সম্পৃক্ত করতে হবে। 

জনগণের উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করে এদের পরাজিত করতে হবে। দেশে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণের ঘটনাকে সরকার এবং সংশ্লিষ্ট তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দায়ী করে বিএনপি মহাসচিব বলেন বলেন, এই দেশকে ক্ষমতাসীন সরকার একটা নরকে পরিণত করেছে। সিদ্দিক বাজারে, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে, সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে ভবন বিস্ফোরিত হয়ে উড়ে গেল। কারণ, যারা দায়িত্বে আছেন এগুলো দেখার, তারা দেখেননি। এই সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে এ দেশের মানুষকে শোষণ করা। সেই শোষণের টাকা দিয়ে পুঁজি সঞ্জীবিত করা। আজকে দেশে, আন্তর্জাতিকভাবে নামকরা পত্রপত্রিকাগুলো এসবই বলতে শুরু করেছে। গার্ডিয়ান বলছে, বাংলাদেশের উন্নয়নের ফানুস দুর্নীতির কারণে চুপসে গেছে।  তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন চারটা নির্বাচন হয়েছিল শান্তিপূর্ণভাবে এবং সবাই মেনে নিয়েছিল। কিন্তু অসৎ উদ্দেশ্যে শুধু ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এখন দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছেন। আজকে মন্ত্রীরা বলেন তত্ত্বাবধায়ক কবরস্থানে চলে গেছে। ১৯৯৬ সালে আপনারা (আওয়ামী লীগ) জামায়াত এবং জাতীয় পার্টিকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য ১৭৩ দিন হরতাল করেছিলেন।

 গানপাউডার দিয়ে শেরাটনের সামনে বাস পুড়িয়ে ১১ জনকে হত্যা করেছিলেন। এখন শুধু কথায় বলেন, বিএনপি’র অগ্নিসন্ত্রাস বন্ধ করার জন্য নাকি আপনারা আমাদের পাহারা দেন। আপনারা সেদিন ১৭৩ দিন অগ্নিসন্ত্রাস করেছেন। লগি-বইঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন। আমরা সেই সংঘাতে যেতে চাই না।  ফখরুল বলেন, যুগপৎ আন্দোলনে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। এ জন্য আপনাদের খুব গাত্রদাহ হচ্ছে। উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করছেন, বারবার উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন। জনগণ শুরু করেছে আন্দোলন, এ আন্দোলনে তারা জয়ী হয়ে ঘরে ফিরে যাবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা যে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, আপনারা সেটা মেনে নিন, ১০ দফা মেনে নিন। অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, সংসদ ভেঙে দিন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র আহ্বায়ক আবদুস সালাম। বক্তব্য রাখেন বিএনপি নেতা রকিবুল ইসলাম বকুল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।

এদিকে রাজধানীর বাড্ডায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, এ সরকারের বিদায় যত দ্রুত হবে দেশের মঙ্গল ততই দ্রুত হবে। পরিস্থিতির তত উন্নতি হবে। তাই দ্রুত সরকারের পতন ঘটাতে হবে। 
এ মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। এসময় বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহাজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ নগর নেতারা বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও কুড়িল বিশ্বরোডে তুরাগ থানার মানববন্ধনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সহ প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

গণতন্ত্র মঞ্চের মানববন্ধন: বিএনপি’র সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ সময় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশাল বহর নিয়ে জনগণের টাকায় দেশ-বিদেশে ঘুরছেন। সরকার যতই তালবাহানা করুক, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। গণতন্ত্র মঞ্চসহ যুগপৎ আন্দোলনে যারা আছে তারা কেউ এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক সময় অনেক ওয়াদা করেছেন কিন্তু কখনোই কথা রাখেন না। তার কথায় কারও আস্থা নেই। উনাকে ক্ষমতা ছেড়ে দিতেই হবে। 

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সংগঠক মাসুদ রানাকে গত রাতে আশুলিয়ায় হামলা করে আহত করা হয়েছে। সারা দেশে মানুষকে হামলা-মামলা করে আন্দোলন থেকে বিরত রাখতে চায়। কিন্তু মানুষের সামনে আন্দোলনের মধ্যদিয়ে এই সরকারের পতন নিশ্চিত করা ছাড়া উপায় নেই।  রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী হাসনাত কাইয়ূমের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু  নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল্লাহ কায়ছার, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডি’র সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল পাটোয়ারী, জেএসডি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মন্টু, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক প্রমুখ।

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মানববন্ধন: রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন এলডিপি’র কার্যালয়সহ রাজধানীর আরও ৩টি স্থানে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি। ঢাকা মহানগর উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম এলডিপি’র নেতৃত্বে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

১২ দলীয় জোটের মানববন্ধন:  সারা দেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি ও হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। বলেছেন, সরকার নির্বিচারে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করছে। গতকাল দুপুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক সংলগ্ন রাস্তায় মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সোল এজেন্ট আওয়ামী সরকারের গণতন্ত্র আজ যুদ্ধতন্ত্রে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা বলেন, প্রতিপক্ষকে গণতান্ত্রিকভাবে মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়ে হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার ও বিভিন্নভাবে কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়ে নিজেদের জনসমর্থনহীনতার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছে সরকার। সরকারি দলের ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট বানিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে চাল, ডাল, তেল, মাছ, মাংস, ডিম এমনকী গরিবের প্রোটিন ফার্মের মুরগির দাম ১৩০ থেকে ১৪০ ও এরপর ২৫০ টাকায় তুলেছে। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে ও কল্যাণ পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান সাকিবের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপি’র মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এনডিপি) চেয়ারম্যান ক্বারী মুহাম্মদ আবু তাহের, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ।

গণফোরাম (একাংশের) মানববন্ধন: রাজধানীর আরামবাগে মানববন্ধন করেছে গণফোরাম (একাংশ)। এ সময় গণফোরামের একাংশের চেয়ারম্যান মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেন, মহাদুর্নীতিবাজ বর্তমান অবৈধ সরকারের কর্ণকুহরে জনগণের আহাজারি পৌঁছায় না, কারণ তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার নয়, তাই এই গণদুশমন সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।  এই আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসে এত লুটপাট কখনো হয়নি। সমগ্র জাতি এই সরকারকে নিয়ে এক মহাসংকটে আছে। সমস্ত রিজার্ভ লুটপাট করে ধ্বংস করে ফেলেছে।  এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বাবুল সর্দার চাখারী। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, জনগণের পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে যায় তখন জনগণ বাধ্য হয়ে রাজপথকেই বেছে নেয়। আমাদের ইতিহাস বলে জনগণ যখন রাজপথ বেছে নেয় তখন কোনো কর্তৃত্ববাদী সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারে না। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘণ্টা বেজে গেছে। 

এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট এ.কে.এম. জগলুল হায়দার আফ্রিক, সভাপতি পরিষদ সদস্য আবদুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট: মানববন্ধন করেছে সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট।  গতকাল সকালে  জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সংগঠনের প্রধান সমন্বয়কারী ও বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশে আজ চরম হাহাকার বিরাজ করছে। এর জন্য দায়ী সরকারের মন্ত্রী-আমলাদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে লালিত-পালিত অবৈধ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট। 

এতে বক্তব্য রাখেন জোটের সহকারী সমন্বয়কারী এডভোকেট মাইনুদ্দিন মজুমদার, জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সভাপতি শাহজাদা সৈয়দ মোহাম্মদ ওমর ফারুক পীরসাহেব, সংবিধান সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি এডভোকেট আতিকুর রহমান, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনসার রহমান সিকদার, জাতীয় যুব ঐক্য পরিষদের সভাপতি ওমর ফারুক সেলিম, জিয়া নাগরিক সংসদের সভাপতি ওহিদ জোমাদ্দার প্রমুখ। 

পেশাজীবীদের মানববন্ধন: নিত্যপ্র‍য়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, দমন-পীড়ন বন্ধ, অবৈধ সংসদ বাতিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪সহ মৌলিক মানবাধিকার হরণকারী সব কালা-কানুন বাতিল, গুমের শিকার সব নাগরিককে উদ্ধার এবং বিচারবহির্ভূত হত্যা ও রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের প্রতিটি ঘটনার দ্রুত বিচারের ব্যবস্থা করে যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ভাঙচুর এবং সম্পত্তি দখলের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ ও বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর নটর ডেম কলেজের সামনে মানববন্ধন করে। ১০ দফা দাবিতে বিএনপি’র মানববন্ধন কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানিয়ে পেশাজীবীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মধ্যে এ সময় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাব সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ, এগ্রিকালচারিস্ট এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-অ্যাব সভাপতি কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুন, ড্যাবের মহাসচিব ডা. আব্দুস সালাম, সাংস্কৃতিক জোটের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ডা. সাহিদুর রহমান, প্রফেসর ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ডা. মেহেদি হাসান, ডা. আবু নাসের, ডা. তালুকদার তরিকুল ইসলাম আয়াত, ডা. তোফাজ্জল হোসেন বকুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: