বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক চ্যালেঞ্জ মনে করছেন ইসি আলমগীর

রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক চ্যালেঞ্জ মনে করছেন ইসি আলমগীর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: নির্বাচন বর্জন বড় চ্যালেঞ্জ মন্তব্য করে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে এলে আরও ভালো হতো। নির্বাচনটা ব্যালেন্সড হতো। অনেক বিষয়ে আমরা খুব সহজেই পজিটিভ রেজাল্ট পেতাম। রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মো. আলমগীর বলেন, ‘তারা (বিএনপি) শুধু নির্বাচনেই আসেনি; বাধা দেয়ার কার্যক্রম করে যাচ্ছে ঘোষণা দিয়ে। বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের বক্তব্য নেই। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আহ্বান যে কেউ জানাতে পারে। কিন্তু যেগুলো নির্বাচনি আইনে অপরাধ হিসেবে বলা রয়েছে, কাউকে বাধা দেয়া, ভোটারকে বাধা দেয়া অথবা ভোটকেন্দ্র করতে বাধা দেয়া; ভোটের পক্ষের কর্মসূচি বাধা দেয়া, হুমকি দেয়া, ভয় দেখানো-এসব তো নির্বাচনি আইন অনুযায়ী অপরাধ।’

এক প্রশ্নে বিএনপির ভোট বর্জনের প্রতি ইঙ্গিত করে আলমগীর বলেন, যদি সবাই আসত (ভোটে), আরও ভালো হত। প্রার্থী বেশি থাকলে স্বাভাবিকভাবে পরিবেশ ব্যালেন্সড থাকে। একতরফাও বলা যাবে না। অনেকগুলো রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। দলটি ভোটে এলে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর ব্যস্ততাও কমতো বলে জানান তিনি। 

এদিকে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের মাত্রা দেখে শাস্তি নির্ধারণের কথা জানান তিনি। বলেন, ছোট আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য বড় শাস্তি দেয়া যাবে না, আবার বড় আচণবিধি লঙ্ঘনের জন্য ছোট শাস্তি দেয়া যাবে না। এটা যথাযথ হতে হবে। তবে তিনি বলেন, বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে জড়িতদের ব্যাপারে প্রতিবেদন আসার পর বিচার বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। প্রতিবেদনে কী এলো তা দেখে সিদ্ধান্ত হবে।

নির্বাচনি এলাকায় সহিংসতার সঙ্গে প্রার্থীদের শোকজ ও মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আলমগীর। তিনি বলেন, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে নরসিংদী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুর, রাজবাড়ী এলাকায় এমন তথ্য রয়েছে। শোকজ- রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার করছে, নির্বাহী বিচারিক হাকিমের কমিটি করছে। ইসির পক্ষ থেকে সরাসরি শোকজ করছি না, দুয়েকটা ছাড়া। মাঠে শোকজ করার পর জবাব দিচ্ছে, এসব প্রতিবেদন আসছে ইসিতে। কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হচ্ছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে আদালতেও পাঠানো হয়েছে।

নিয়মের মধ্যে থেকে ইসি সবই করছে জানিয়ে তিনি বলেন, কমিশন সরাসরি একজনকে ডেকেছে (আমির হোসেন আমু) এবং তিনি এসে জবাব দিয়েছেন। যেভাবে সোশাল মিডিয়ায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা প্রকাশ হয়েছে, বাস্তবে তা হয়নি; এডিটিং করে প্রকাশ করা হয়। তবুও পরবর্তীতে আচরণবিধি মানার বিষয়ে সাবধান হবে বলে জানিয়ে গেছেন এ প্রার্থী।

কুমিল্লা-৬ আসেন নৌকার প্রার্থী সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে কুমিল্লার ডিসি ও পুলিশ সুপার কী জানিয়েছেন-এই প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রতিবেদন এলে দেখা যাবে। অনুসন্ধান কমিটি তাকে তিনবার শোকজ দিয়েছে। কী ঘটেছিল সেসব প্রতিবেদনে উঠে আসবে।