ফায়ার অধিদফতরে ভাঙচুর ঘটনায় তদন্তের পর মামলার সিদ্ধান্ত

বুধবার রাত ৮টায় বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান সিকদার।

ফায়ার অধিদফতরে ভাঙচুর ঘটনায় তদন্তের পর মামলার সিদ্ধান্ত
ফায়ার অধিদফতরে ভাঙচুর: তদন্তের পর মামলার সিদ্ধান্ত

প্রথম নিউজ অনলাইন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরে ভাঙচুরে জড়িতদের বিষয়ে কী প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানা যাবে তদন্তের পর। বুধবার (৫ এপ্রিল) রাত ৮টায় বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক (মিডিয়া সেল) মো. শাহজাহান সিকদার। তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলমান রয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হলে সিদ্ধান্ত নেবো মামলা করবো কী করবো না। কোনও সিদ্ধান্ত হলে এ বিষয়ে জানানো হবে।’

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর পুরান ঢাকার বঙ্গবাজারে লাগা আগুন দ্রুত সময়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারার অভিযোগে উত্তেজিত জনতা ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রধান কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। বিক্ষুব্ধ জনতার নিক্ষেপ করা ইট-পাটকেলে ওই কার্যালয়ের ভেতরে থাকা অন্তত ১১টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ সময় মারধর করা হয় কয়েকজন ফায়ারকর্মীকেও। এ প্রসঙ্গে বংশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মজিবুর রহমান  বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত আছি। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, পুরান ঢাকার কাজী আলাউদ্দিন রোডে ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়টি দুর্ঘটনাস্থলের ঠিক উল্টো পাশেই অবস্থিত। কিন্তু তাদের অভিযোগ ফায়ার সার্ভিস সময় মতো আসলেও তাদের মধ্যে দায়িত্বহীনতা লক্ষ্য করা গেছে। তারা শুরুতে এই অগ্নিকাণ্ডকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়নি। তাই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাম্পে পানি নেই বলেও অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তবে হামলার ঘটনায় তারা জড়িত নন বলে দাবি করেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী হোসাইন বলেন, ‘সকাল ৬টা বাজে আগুন লাগছে। তাগোরে ডাক দিলে তারা বোতল (ফায়ার এক্সটিংগুইশার) নিয়া আসছে আগুন নিভাইতে। কিন্তু আগুন নিভে নাই। তাদের বলছি পানির গাড়ি নিয়া আসেন। তারা বলে ওপর থেকে আমাদের হুকুম আসে নাই। হুকুম আসছে ৭টার পরে। পরে গিয়ে তারা পানি নিয়ে আসছে, সেটারও স্পিড নাই। সারা দেশের ফায়ার সার্ভিসের মেইন অফিস এইখানে, আর এইখানে নাকি তাদের পাম্পে পানি নাই।’