Ad0111

চুরি হওয়া ফাইলে গোপন কিছু নেই: সচিব

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর চুরি হওয়া ফাইলে তেমন গোপনীয় কোনো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন

চুরি হওয়া ফাইলে গোপন কিছু নেই: সচিব
ছবি: সংগৃহীত

প্রথম নিউজ, ঢাকা: স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আলী নূর চুরি হওয়া ফাইলে তেমন গোপনীয় কোনো কিছু নেই বলে জানিয়েছেন। ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে, কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। এটা নিয়ে তেমন সমস্যা নয়। তবে মূল বিষয় হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া! রোববার (৩১ অক্টোবর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের ১৭টি নথি গায়েবের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাদিরা হায়দার এ জিডি করেন। এরপর নথি গায়েব বা খোয়া যাওয়ার ঘটনা তদন্তে রোববার সকালে সচিবালয়ে যায় সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। সেখানে কর্মরতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিআইডি কর্মকর্তারা। এরপর ওই বিভাগের ছয় কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে আনা হয়।

খোয়া যাওয়া ফাইলগুলো কী সংক্রান্ত ছিল- জানতে চাইলে সচিব বলেন, এগুলো ক্রয় সংক্রান্ত। এগুলো তেমন গোপনীয় কিছু নেই। প্রত্যেকটা ফাইলের তথ্য আমাদের অন্যান্য বিভাগেও আছে। এ তথ্য আমাদের কম্পিউটারেও আছে, ডিজি অফিসগুলোতেও আছে। মূল বিষয়টা হচ্ছে ফাইল মিসিং হওয়া! এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিষয়। এটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, আমরা চাই প্রকৃত ঘটনা যেন জানতে পারি। নথি গায়েবের ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের কাউকে সন্দেহ করেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সন্দেহের বিষয়টা তো এখন বলাটা কঠিন। কারণ আমরা তো সত্যিকারভাবেই আসলে জানি না, কে এই কাজটি করেছেন। এখন আমরা সন্দেহের মধ্যে আছি। আমি তো মনে করি যে, আমরা সবাই সন্দেহের মধ্যেই আছি।

আলী নূর বলেন, আমরা পুলিশকে সেভাবেই বলেছি, আপনারা সবাইকেই ইনক্লুড করবেন, যাতে আমরা তথ্যটা জানতে পারি, উদ্ধার করতে পারি। সচিব বলেন, বৃহস্পতিবার একটা লকারের ড্রয়ার থেকে কিছু ফাইল মিসিং হয়েছে, এটা জানার পর আমরা সঙ্গে সঙ্গে অফিসারদের সেখানে পাঠাই। পরে আমরা নিশ্চিত হলাম যে, মিসিং হয়েছে। এটা শোনার পর মিটিং শেষ করে আমি স্পটে গিয়েছি। আমাদের অতিরিক্ত সচিবরা আমার সঙ্গে ছিলেন। আলী নূর আরও বলেন, ঘটনা জানার পর আমি পুলিশকে খবর দিলাম। এডিসিসহ আরও দুজন কর্মকর্তা এখানে আসছেন। তারা বিষয়গুলো দেখেছেন। দেখার পর আমি তাৎক্ষণিকভাবে মন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করি, মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে অবহিত করি এবং পুলিশকে প্রয়োজনে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলি। আমি যখন মিটিংয়ে ছিলাম, জিডি করার কার্যক্রম তারা সম্পন্ন করেছেন।

তিনি বলেন, এর বাইরে সিআইডিকে অনুরোধ করি, বিষয়টা টেকআপ করার জন্য। আমাদের যে বিষয়টা ঘটেছে, এটা তো আমাদের উদ্ধার করতে হবে, যেভাবেই হোক। যারা এর সঙ্গে জড়িত, এটা খুঁজে বের করতে হবে। বিষয়টি কীভাবে হলো, কখন হলো। এটাই ছিল আমাদের মূল বিষয়। প্রাথমিকভাবে জিডি করেছেন, কিন্তু মামলা করেননি কেন বা কখন করবেন- এ প্রশ্নে সচিব বলেন, এটা তো তদন্তাধীন। এখন এটার অগ্রগতি জানার পরে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ঘটনায় ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা বিভাগের সচিব বলেন, সেই কমিটিও কাজ শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, শিগগির একটি তথ্য জানতে পারবো, কারা কীভাবে কাজটি করেছে এবং কেন করেছে। কমিটি পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে বলেও জানান আলী নূর।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news