গণপুর্তের বারোটা বাজাচ্ছে কারা 

কাগজে কলমে ও বাহ্যিক দৃষ্টিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত শামীম আখতার। সরাসরি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা চোখে না পড়লেও একটি বিশেষ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। 

গণপুর্তের বারোটা বাজাচ্ছে কারা 

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বর্তমান সরকারের শেষ মেয়াদে এসে এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করছে না। একটি বিশেষ অঞ্চলের নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে একটি সরকারকে নিজ দেশের জনগণের সুবিধার্তে অনেক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে হয়। এক্ষেত্রে অধিকাংশ উন্নয়নকাজই গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে থাকে সরকার।
সরকারের গৃহীত ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম একটি কর্মসূচী হলো টেকসই উন্নয়ন। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাত হচ্ছে অবকাঠামো ও নির্মান খাত। আর এই গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো বাস্তবায়নে মূখ্য ভূমিকা পালন করে গণপূর্ত অধিদপ্তর।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা হচ্ছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। নিয়ম অনুযায়ী ও প্রশাসনিক কাঠামো অনুযায়ী তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ। তাই যখন যা ইচ্ছা তাই তিনি করতে পারেন। তাকে যে কোন সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানের ক্ষেত্রে রয়েছে তার একান্ত অনুগত কয়েকজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এবং কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীর সমন্বয়ে গঠিত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কাগজে কলমে ও বাহ্যিক দৃষ্টিতে একজন সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত শামীম আখতার। সরাসরি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে তার সম্পৃক্ততা চোখে না পড়লেও একটি বিশেষ সুবিধাবাদী কর্মকর্তা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তিনি হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। 
বর্তমান সরকারের শেষ মেয়াদে এসে এই সিন্ডিকেট এতটাই বেপরোয়া যে কোন নিয়ম কানুনকে তারা তোয়াক্কা করছে না। একটি বিশেষ অঞ্চলের নামীদামী কিছু ব্যক্তিদের নাম ব্যবহার করে এরা ফায়দা হাসিল করছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার তার ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করেছেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) এর বহুতলবিশিষ্ট ভবন নির্মানের ক্ষেত্রে। দীর্ঘদিন যাবৎ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও সাইট সিলেকশনের অজুহাত দেখিয়ে শামীম আখতারের অত্যন্ত ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী ক্যাডেট কলেজের ছাত্র আতিকুল ইসলামকে একটি কমিটি বানিয়ে কাজটি হস্তান্তর করেন। উক্ত কাজ মতিঝিল গণপূর্ত বিভাগ থেকে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ হস্তান্তরের মূল উদ্দেশ্য হলো কয়েক কোটি টাকার কমিশন বানিজ্য হাতিয়ে নেয়া। এজন্যই মূলত কমিটি করা হয়েছিল।
বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর ডাটাবেজ তৈরির কাজে সহযোগিতা করছেন আতিকুল ইসলাম। গণপূর্ত অধিদপ্তরের রক্ষনাবেক্ষন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে বিভিন্ন ঠিকাদারের নিকট হতে অধিক পরিমান উৎকোচ গ্রহন করে অনুমোদিত বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা হতে ৩ বছরে প্রায় ৬০ কোটি টাকার অতিরিক্ত দরপত্র আহবান করে ঢাকা গণপূর্ত বিভাগ-১ এ বদলী হয়ে চলে যান। এই অতিরিক্ত ৬০ কোটি টাকার দরপত্র আহবান করে সুকৌশলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
উল্লেখ্য যে, এই অনিয়মের বিষয়ে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার। শামীম আখতারকে না জানিয়ে আতিকুল ইসলাম কোন কিছু করেন না বলে গণপুর্ত অধিদপ্তরে প্রচলিত আছে। কিছু দিন গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের ক্ষমতা সীমিত করেছে গণপূর্ত মন্ত্রনালয়। গণপূর্ত অধিদপ্তরে বদলী ও পদায়নের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম রয়েছে এটা সর্বজনবিদিত। এটাও সত্যি যে অনেক ক্ষেত্রে প্রকৌশলীগন ঘুষ গ্রহন, দুর্নীতি এবং নানাবিধ অনিয়ম করে থাকেন যার ফলশ্রুতিতে সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নে বিলম্ব হয় এবং সরকারের প্রকল্প ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এতে সরকারেরর তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি সুনামও ক্ষুন্ন হয়।  
প্রধান প্রকৌশলীর ছত্রছায়ায় যদি হাতেগোনা কিছু প্রকৌশলী সুবিধাভোগী হয় তাহলে মাঠ প্রশাসনে এর বিরূপ প্রভাব পড়ে। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারকে ঘিরে রেখেছে এরকম একটি দুর্নীতিপরায়ন প্রকৌশলী ও  কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট। এর ফলে অন্যান্য দক্ষ ও মেধাবী প্রকৌশলীগণ অবমূল্যায়নের শিকার হচ্ছেন। এর প্রভাব দেশব্যাপী মাঠ পর্যায়ে পড়ার কারনে প্রধান প্রকৌশলীর ক্ষমতা সীমিত করে সমস্ত বদলী ও পদায়নের ক্ষমতা মন্ত্রণালয় কেড়ে নিয়েছে জানা যায়। প্রধান প্রকৌশলীর এই অবনমনের জন্য দায়ী তার বেশ কিছু অতিঘনিষ্ঠ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এবং দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলীদের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যাদের রাহুগ্রাস থেকে বাহির হতে পারছেননা শামীম আক্তার।
গণপূর্ত মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে, ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের নাম ভাংগিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ একজন নির্বাহী প্রকৌশলী পুরো অধিদপ্তরটিকে তটস্থ করে রেখেছে। অধিদপ্তরের কে কোথায় বদলী হবেন, কে কে টেন্ডারের কাজ পাবেন তা সবকিছুই উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী নিয়ন্ত্রণ করে বলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন। 
আলোচিত এই নির্বাহী প্রকৌশলী এক সময়ে বর্তমান প্রতিমন্ত্রীর নিজ জেলা ময়মনসিংহে দায়িত্ব পালনকালে মন্ত্রীর সাথে ঘনিষ্ঠ হন। অত্যন্ত চতুর প্রকৃতির এই নির্বাহী প্রকৌশলী সব সময়ে স্রোতের অনুকূলে থাকতে পটু। অদৃশ্য ক্ষমতার বলে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকায় বদলী হয়ে এসেই পুরো অধিদপ্তরকে নিজের বলয়ে নিয়ে নেন তিনি। তার সাথে যুক্ত হয় প্রধান প্রকৌশলীর বলয়ে থাকা একদল অসাধু,  দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও প্রকৌশলী। মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যেও উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী হীনসার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে  সুকৌশলে দুরত্ব সৃষ্টি করে। সচিবের বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে গনপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এবং সচিবকে পাশ কাটিয়ে নিজের সুবিধাজনক স্থানে পোষ্টিং বাগিয়ে নেন। বর্তমানে সেই নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে যুক্ত হয়েছেন আরও কয়েকজন রাঘব বোয়াল নির্বাহী প্রকৌশলী। উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলীর নিজ সুবিধার্থে ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায়। জানা যায় তিনিই দপ্তরটির সকল কাজের কাজী। 
সূত্র জানিয়েছে, উক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জন্মলগ্ন থেকেই পারিবারিকভাবে বিএনপি ঘরানার রাজনীতির সাথে যুক্ত। এরকম একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে কিভাবে মন্ত্রীএতটা সুযোগ সুবিধা দেন সেটাই এখন গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে কোটি টাকার প্রশ্ন হয়ে দাড়িয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজনীতির হিসেব নিকেশ যাই হোক না কেন; এরকম সুবিধাবাদী ব্যক্তিগনের বিষয়ে গনপূর্ত মন্ত্রনালয়কে অবশ্যই ভাবা উচিত।

জানা যায়,সদ্য বিদেশে পালিয়ে যাওয়া গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন এবং প্রকৌশলী  আবুল কালাম আজাদ দুর্নীতিতে মহা চ্যাম্পিয়ন। রোকন উদ্দিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আবুল কালাম আজাদ এখনও রয়েছেন বহাল তবিয়তে। শ্যালকের মাধ্যমে তিনি সরাসরি ঠিকাদারীতে সম্পৃক্ত। শুধু হাতেগোনা দু'চারজন প্রকৌশলীই নন এরকম আরও শত শত রাঘব বোয়াল রয়েছে গনপূর্ত অধিদপ্তরে যারা দীর্ঘদিন ধরে নামে বেনামে ঠিকাদারী করে হয়েছেন আংগুল ফুলে কলা গাছ।  

এদিকে, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আলমগীর খানের বিরুদ্ধে  গণপূর্ত ডিভিশন-৬ এ নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে।
আলমগীর খানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্বেও বর্তমানে ই/এম শাখার গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে তাকে পদায়ন করা হয়েছে। অনিয়ম, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ দিয়ে তিনি ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। তার বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগও পাওয়া গেছে। আলমগীর খানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্ত করলেই উক্ত সকল অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে। কথিত রয়েছে যে, গনপূর্ত অধিদপ্তরের অন্যতম দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা রোকন উদ্দিনের মত আলমগীর খানও যেকোনো সময় বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। 

জানা গেছে, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সতীনাথ বসাক বর্তমান প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের অত্যন্ত আস্থাভাজন হওয়ায় অধিদপ্তর জুড়ে তিনি কাউকে পরোয়া করেন না। সাবেক কর্মস্থল সাভার থাকাকালীন সময় থেকে ভুয়া বিল ভাউচার করে সরকারি টাকা উত্তোলন পূর্বক আত্মসাৎ এর মাধ্যমে অর্জিত অর্থে বিলাসী জীবন যাপন করে আসছেন। এসব বিষয় ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কমিশন দিয়ে ম্যানেজ করতেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে। বর্তমানে তার সমস্ত অনিয়ম দুর্নীতির সহযোগী হিসাবে ৩ নং ডিভিশনের প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইফকে কাজে লাগান। যিনি বর্তমানে তার সমস্ত কুকর্মের সাক্ষী ও সঙ্গী।
পুরো অধিদপ্তর জুড়ে এমন অসংখ্য দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী রয়েছেন যাদের এক সময় নুন আনতে পানতা ফুরাতো তারা কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পদের মালিক। এরা সবাই গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের অত্যন্ত আস্থাভাজন। বর্তমান অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (সংস্থাপন ও সমন্বয়) শহীদুল আলমের বিষয়ে গোটা অধিদপ্তর জুড়ে একটাই অভিযোগ; তিনি বিগত ১৩ বছর বিদেশে কাটিয়ে এসে দুই জায়গা থেকে বেতন উত্তোলন করেছেন যা সম্পূর্ণ আইন পরিপন্থী। বিষয়টি চরম বিতর্কিত হওয়ায় একাধিক গনমাধ্যমে বিশদ আকারে প্রকাশিত হলেও বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর থেকে কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি। শহিদুল আলম শুধুমাত্র প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজনই নন তিনি হাওয়া ভবনেরও প্রতিনিধি বলে গনপূর্ত অধিদপ্তরে গুঞ্জন রয়েছে।
মোঃ খাইরুল ইসলাম গনপূর্ত অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য উইং এ অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই স্বাস্থ্য বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ বিশেষ করে হাসপাতালের অবকাঠামো ও ভবন নির্মানের প্রকল্প  গনপূর্ত অধিদপ্তরের হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর এই সকল কাজ নিয়ে যাচ্ছে। যেখানেই উন্নয়ন প্রকল্প হয়, সেখানেই খাইরুল ইসলাম বাধাগ্রস্ত করেছে। 
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও অদৃশ্য হাতের ইশারায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশও প্রতিপালিত হয়নি গণপূর্ত অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয় থেকে।  এসব অভিযোগের বিষয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। এমনকি মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিনকে ফোন করা হলে তিনিও ফোন ধরেননি।