সাতছড়ি উদ্যান থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার
সাতছড়ির গহীন বন থেকে ১২টি কামান, দুটি বিমান বিধ্বংসী কামান এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
আজ সোমবার সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান ডিআইজি মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, রবিবার রাত ৩টার দিকে ইউনিটের অর্ধশত সদস্য সাতছড়ি বনের পূর্বদিকে অভিযান শুরু করে। সোমবার বেলা ১১টায় সদস্যরা চারটি বস্তায় ভরে বেশ কিছু গোলাবারুদ বের করে নিয়ে আসে।
স্থানীয়রা জানান, সাতছড়ির গহীন বন থেকে ১২টি কামান, দুটি বিমান বিধ্বংসী কামান এবং বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। তবে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি।
এর আগে ২০১৪ সালের ১ জুন থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দফায় অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে ৩৩৪টি কামান বিধ্বংসী রকেট, ২৯৬টি রকেট চার্জার, একটি রকেট লঞ্চার, ১৬টি মেশিনগান, একটি বেটাগান, ছয়টি এসএলআর, একটি অটোরাইফেল, পাঁচটি মেশিনগানের অতিরিক্ত খালি ব্যারেল, প্রায় ১৬ হাজার রাউন্ড বুলেটসহ বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে র্যাব।
এর পর আবারও ওই বছরের ১৬ অক্টোবর থেকে চতুর্থ দফার প্রথম পর্যায়ে উদ্যানের গহিন অরণ্যে মাটি খুঁড়ে তিনটি মেশিনগান, চারটি ব্যারেল, আটটি ম্যাগাজিন, ২৫০ গুলির ধারণক্ষমতাসম্পন্ন আটটি বেল্ট ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন একটি রেডিও উদ্ধার করা হয়। পরে একই বছরের ১৭ অক্টোবর দুপুরে এসএমজি ও এলএমজির আট হাজার ৩৬০ রাউন্ড, থ্রি নট থ্রি রাইফেলের ১৫২ রাউন্ড, পিস্তলের ৫১৭ রাউন্ড, মেশিনগানের ৪২৫ রাউন্ডসহ মোট ৯ হাজার ৪৫৪ রাউন্ড বুলেট উদ্ধার করা হয়।
পঞ্চম দফায় ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সাতছড়িতে অভিযান পরিচালনা করে ১০টি হাই এক্সক্লুসিভ ৪০ এমএম অ্যান্টি-ট্যাংক রকেট উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ ষষ্ঠ দফায় ২০১৯ সালের ২৪ নভেম্বর সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান থেকে ১৩ রকেট লঞ্চারের শেলসহ বেশ কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। পরে সিলেট ক্যান্টনমেন্ট এর বোম ডিস্পোজল টিম এগুলো বনের ভেতরেই ধ্বংস করে ফেলে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩ মার্চ ১৮টি গোলাবারুদ উদ্ধার করেছিলেন বিজিবি সদস্যরা।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: