রেকর্ড ১ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকার খেলাপি ঋণ
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংকিংখাতে করপোরেট সুশাসনের অভাবে খেলাপি ঋণ এই রেকর্ড পর্যায়ে এসেছে।

প্রথম নিউজ, অর্থনীতি ডেস্ক: দেশের ব্যাংকিংখাতে নতুন রেকর্ড পরিমাণ খেলাপি ঋণ হয়েছে। চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত এ ঋণের পরিমাণ ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ব্যাংকিংখাতে করপোরেট সুশাসনের অভাবে খেলাপি ঋণ এই রেকর্ড পর্যায়ে এসেছে।
জানা গেছে, গত তিন মাস অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুন মাসেই এই খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়েছে ২৪ হাজার ৪১৯ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিতরণকৃত ঋণের ১০ দশমিক ১১ শতাংশই খেলাপি ঋণ। যা টাকার অংকে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৩৯ কোটি টাকা। এছাড়া এ সময় পর্যন্ত ব্যাংকিংখাতে মোট বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৬৫৫ কোটি টাকা।
হলের অভ্যন্তরীণ উন্নয়ন কাজে উদ্যোগ না নেয়া, হল সংলগ্ন রাস্তা সংস্কারে অবহেলার অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যান কুমার কুন্ডুর পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন করেছে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে দুইদিনের আল্টিমেটাম দিয়ে হল অফিসে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
রবিবার (১ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টায় শহীদ সালাম বরকত হলের সামনের সড়কে প্রায় ১৫০ জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় 'একদফা এক দাবি, প্রভোস্ট তুই কখন যাবি, আমাদের দাবি মানতে হবে' ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা মাঠ সংস্কার, হল সংলগ্ন রাস্তা সংস্কার, হলের ফিল্টার ব্যবস্থা করা, গেস্টরুম এর সংস্কার, লাইব্রেরি, ওয়াশরুম, ক্যান্টিন, ডাইনিং ইত্যাদি সংস্কার আগামী দুইদিনের মধ্যে সকল কাজ করতে হবে বলে আল্টিমেটাম দেন। তা না হলে প্রভোস্টকে পদত্যাগ করতে হবে বলে শিক্ষার্থীরা জানান।
হলের আবাসিক ছাত্র গণিত বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী তুহিন বলেন, দীর্ঘদিন যাবৎ আমাদের লাইব্রেরির নাজেহাল অবস্থা। হল প্রশাসনকে বারবার জানানোর পরেও তাদেরকে কোন উল্লেখযোগ্য ব্যবস্থা নিতে দেখি নাই। হলের আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমাদেরকে হলের ডাইনিং ও ক্যান্টিনে খাওয়া দাওয়া করতে হয়। সেগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। ওয়াশরুমের সংস্কার হলেও তা যথাযথ হয় নি।
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) ছাত্র সাঈম বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ নানা দাবি জানিয়ে আসলেও হল প্রশাসন তাতে কোন ভ্রুক্ষেপ করছেন না। গত রমজানে আমাদের হলের 'বি-ব্লক' এর একটা ওয়াশরুমের পাইপ ফেটে যায়। এতে ওই জায়গায় চলাচল করার মতো অবস্থা থাকে না ও অনবরত বিশ্রী গন্ধ ছড়ায়। আমি তিনবার অভিযোগ দেয়ার পরেও এর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয় নি।
আইন ও বিচার বিভাগের (৪৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী সাজ্জাদ সৌভিক বলেন, "একটি হলের যে যে সুযোগ সুবিধা থাকার কথা আমরা সে সুযোগ সুবিধা পাচ্ছিনা। আমাদের হলের পয়:নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো না, হলে সামনে পানি জমাট জমে থাকে, সিয়াম চত্ত্বরে পানির কারণে বসা যায় না, খেলার মাঠের অবস্থা ভালো না, বিদ্যুতের সমস্যা। এত সমস্যা থাকায় আমরা পড়াশুনায় মন বসাতে পারছি না। এ প্রভোস্ট এতদিন ধরে দায়িত্ব পালন করেছে হলের উন্নয়নে কোন কাজ করেনি। আমরা এই প্রভোস্টের পদত্যাগ চাই।"
সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষন করে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মাসুফ আহমেদ বলেন, যেহেতু শহীদ সালাম বরকত হলসহ ক্যাম্পাসের কোথাও ছাত্র সংসদ নেই সেহেতু আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি হয়ে শাখা ছাত্রলীগের শহীদ সালাম বরকত হল ইউনিট প্রভোস্ট স্যারের কাছে বারবার গিয়েছি যে, বৃষ্টি হলে আমাদের এই রাস্তা দিয়ে হাঁটা যায় না, তাহলে হলের সামনে এই গেইট দিয়ে লাভ কি হল। সালাম বরকত হলের শিক্ষার্থীরা আজকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুন্ডু বলেন, "আমি সমস্যাগুলোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বারবার অবগত করেছি কিন্তু সেখান থেকে বাজেট দেওয়া হয়নি৷ তাই হলের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারছি না।"