বাবাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার পর পুলিশে কল দিলেন মেয়ে

প্রথম নিউজ, অনলাইন: সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর কাঠালবাগান মহল্লায় আব্দুর সাত্তার (৫৬) নামে এক ব্যক্তিকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছেন তার নিজের মেয়ে। পরে মেয়ে জান্নাত জাহান শিফা (২৩) নিজেই জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুলিশকে জানান।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার ভোররাতে সাভার পৌর এলাকার মজিদপুর কাঠালবাগান মহল্লার আব্দুল কাদেরের মালিকনাধীন নূর মোহাম্মদ ভিলার ৫ম তলার ফ্ল্যাটে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আব্দুর সাত্তার নাটোর জেলার সিংড়া থানার ভগা গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
থানা পুলিশ জানায়, গত ২০২২ সালে নাটোরের সিংড়া থানায় বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছিলেন মেয়ে জান্নাত। সেই মামলায় দীর্ঘদিন জেল খেটে বের হয়ে আবারও মেয়ের সঙ্গে সাভারে ভাড়া বাসায় বসবাস শুরু করেন আব্দুস সাত্তার। সম্প্রতি আগের মামলার বিষয় নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে দ্বন্দের সৃষ্টি হলে বৃহস্পতিবার রাতে বাবাকে ভাতের সঙ্গে ২০টি ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ালে আব্দুর সাত্তার ঘুমিয়ে পড়েন।
এরপর ভোর ৪টার সময় মেয়ে জান্নাত ধারালো অস্ত্র বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেন।
সাভার মডেল থানার ডিউটি অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ৯৯৯ কল করে এক মেয়ে জানান, ‘আমি আমার বাবাকে হত্যা করেছি, আমাকে ধরে নিয়ে যান। ’পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত আব্দুর সাত্তারের লাশ উদ্ধার করে এবং মেয়েকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
আব্দুল কাদেরের বাড়ির কেয়ারটেকার রহিজ উদ্দিন বলেন, গত ৫ মাস আগে বাবা ও মেয়ে বাসা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন।
আজকে শুনলাম মেয়ে নিজেই ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে।