বাঁধন যতই শক্ত করেছেন, ততোই ঢিলে হয়েছে: মান্না
যতই কথা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন ততই সামাজিক মাধ্যমে কথা হবে।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: সরকারকে উদ্দেশ্য করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, বাঁধন যতই শক্ত করেছেন ততোই ঢিলে হয়েছে। পত্রিকা বন্ধ করেছেন, টেলিভিশন বন্ধ করেছেন, বিশ্বের সমস্ত জায়গার টকশোতে বাংলাদেশের কথা বলছে। যতই কথা বন্ধ করার চেষ্টা করবেন ততই সামাজিক মাধ্যমে কথা হবে। কথা বন্ধ করতে পারবেন না। কারণ মানুষের মনে ঘৃণা জন্মেছে।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে 'স্বৈরতন্ত্র নিপাত যাক গণতন্ত্র মুক্তি পাক, একুশ মানে অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক ঐক্য আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, মানুষ আমাদের বলে আপনারা এখনো কি করেন সরকারকে ফেলতে পারেন না কেনো? ফেলতে পারি না যেমন ঠিক। ফেলতে পারি তেমনি ঠিক। নিজেদের গোছাতে হবে। নাগরিক ঐক্যেকেও গোছাতে হবে। ডাকসুর সাবেক ভিপি বলেন, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্নাকে এতো ভয় কেন ? সরাসরি সোজাসাপ্টা কথা বলি দেখে। কথা বলতে ভয় করেনি সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার। তাদের থেকেই সাহস নিয়েই আমি সরকারের বিরোধিতা করছি।
সরকারের সমালোচনা করে মান্না বলেন, সরকারের যাদের সাথে আত্মার ,বন্ধুত্বের ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তাদের সাথে সম্পর্কের অবনতি হচ্ছে। সরকার ২০৪১ সাল পর্যন্ত সময় চায়। এতদিন পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে নাকি ? নির্বাচন কমিশনের ১০ জনের নাম প্রস্তাব করেছে। পত্রিকায় দেখলাম কাদের নাম নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাব করেছেন সবাই দেখতে চাই। ওরা (সরকার) বলছে, বলবো না। এ কারণেই বলবে না, ওদের মধ্যে থেকে নাম প্রস্তাব করে রেখা হয়েছে। নামগুলো তারাই (আওমীলীগ) প্রস্তাব করে রেখেছে। কথা খুব স্পষ্ট, নির্বাচন হবেই।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, চলে যাও (সরকার)। এরশাদ সাহেবকে বলেছিলাম যেতে হবে। এরশাদ সাহেব বলেছিলেন' কেমনে নামবো।' তখন বলেছিলাম যেভাবে এসেছেন, সে ভাবেই নেমে যান। তারপরে আমরা কি করব, আমরা নিজেরা ঠিক করব। নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, কথা খুব স্পষ্ট।যে কোনো মূল্যে নির্বাচন হবে। সরকার ক্ষমতা ছাড়তে চাইছে না। কিন্তু দলগুলো ক্ষমতায় যাইতে চাচ্ছে। নির্বাচনকালীন সরকার হবে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কেউ কেউ বলেন আমরা চাই কেয়ারটেকার সরকার। কেয়ারটেকার মানে তিন মাসের সরকার ? ১২ বছরে এই সরকার যত দুই নাম্বারী (দুর্নীতি) করেছে মুছে ফেলতে পারবে। নির্বাচন কমিশন কি নির্বাচন করেন? নির্বাচন করে ডিসি-এসি-ওসিরা ঠিক কিনা বলেন। নির্বাচনের জন্য ডিসি-এসি-ওসি প্রশাসন ঠিক করতে কতদিন সময় লাগে?
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন নাগরিক ছাত্র ঐক্য উপদেষ্টা এস এম আকরাম, নাগরিক ছাত্র ঐক্য সভাপতি মোশারফ হোসেন, নাগরিক ঐক্য সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লা কায়সার, নাগরিক যুবক ঐক্য সদস্য সচিব স্বপ্না আক্তার, নাগরিক ঐক্য যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য মফাককেরুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্য প্রেসিডিয়াম সদস্য জিল্লুর চৌধুরী দিপু প্রমুখ।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: