গণতন্ত্র না থাকলে ইউরোপ-আমেরিকা সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিবে: নুর

রোববার তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গণতন্ত্র না থাকলে ইউরোপ-আমেরিকা সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিবে: নুর

প্রথম নিউজ, অনলাইন: গণতন্ত্র, সুশাসন, নাগরিক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে ইউরোপ এবং আমেরিকা সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিবে বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। রোববার তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি। বেলা পৌনে ১২টায় আল রাজী কমপ্লেক্সের সামনে থেকে মিছিল বের করে গণঅধিকার পরিষদ। তাদের মিছিলটি পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন, নাইটিংগেল মোড় ঘুরে বিজয়নগর পানিরট্যাংকির মোড়ে  গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

নুরুল হক নুর বলেন, সিপিডির প্রতিবেদন বলা হয়েছে গত ১৫ বছরে অনিয়ম করে ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা লোপাট করা হয়েছে। সিপিডি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার রেফারেন্সে এই তথ্য দিয়েছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা পাচার করেছে। জিএফআই বলছে প্রতিবছর আমদানি-রপ্তানির আন্ডারভয়েস-ওভারভয়েসসহ বিভিন্নভাবে ৭২ হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে পাচার হচ্ছে, অন্যান্য সংস্থার মতে ১ লক্ষ কোটি। তারা বলছে, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নাই, অর্থনৈতিক খাত দুর্বৃত্তদের দখলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন শ্রমিকদের ক্ষমতায়ন ও শ্রমিক অধিকার, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক অধিকার নিশ্চিতের কথা বলছে। দেশে গণতন্ত্র, সুশাসন না থাকলে তো ব্যাংকিং খাতে সুশাসন কিংবা শ্রমিক অধিকার, নাগরিক অধিকার থাকবে না।

তিনি বলেন, গণতন্ত্র, সুশাসন, নাগরিক অধিকার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে ইউরোপ-আমেরিকা সরকারকে নিষেধাজ্ঞা দিবে। যার ভুক্তভোগী হবে গোটা দেশের জনগণ। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান, এখনো সময় আছে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সুষ্ঠু নির্বাচন দিন, দেশ রক্ষা করুন। 

পুলিশসহ প্রশাসনের অনেকে সরকার পরিবর্তন হলে চাকরিচ্যুত বা ওএসডি হওয়ার আশঙ্কায় আছেন উল্লেখ করে নুর বলেন, আমরা কথা দিচ্ছি কারো চাকরি যাবে না। আর বর্তমান সরকার আজকে পরিবর্তন হলেই কালকে বিএনপি বা অন্য কেউ ক্ষমতায় চলে আসছে বিষয়টি তো এমন নয়। প্রয়োজনে জাতীয় ঐক্য ও সংহতি তৈরি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য জন্য জাতীয় সরকার হতে পারে। জাতীয় বলেন, তত্ত্বাবধায়ক বলেন মাঝখানে তো একটা সরকার থাকবে। সুতরাং আপনাদের ভয়ের কিছু নাই। দেশকে বাঁচাতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নেমে আসতে হবে। ভিনদেশি মদদে এদেশে কোন একতরফা নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। আমাদের আন্দোলন চলছে, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত চলবে।

মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, আব্দুজ জাহের, এডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, সহ সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ইলিয়াস মিয়া, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তারিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আদীব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল, মহানগর উত্তরের সভাপতি মিজানুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ।