Ad0111

খালেদা জিয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও কাটছে না শঙ্কা

এক মাস ২৭ দিনের মাথায় গত ৯ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিনে নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে টানা দুই মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

খালেদা জিয়ার কিছুটা উন্নতি হলেও কাটছে না শঙ্কা
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সর্বশেষ হাসপাতালে ভর্তি হন গত ১৩ নভেম্বর। এরপর থেকে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন। তবে এক মাস ২৭ দিনের মাথায় গত ৯ জানুয়ারি সিসিইউ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে কেবিনে নেওয়া হয়। সবমিলিয়ে টানা দুই মাস তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসসির কারণে থেমে থেমে ক্ষুদ্রান্তে রক্তক্ষরণ, রক্তবমি, হিমোগ্লোবিন ওঠা-নামাসহ নানা তীব্র জটিলতায় ভুগছেন। তার ক্ষুদ্রান্তের নিচে রক্তক্ষরণের উৎস বন্ধ করতে ‘ব্যান্ড লাইগেশন’ করা হয়েছে। টানা কয়েকদিন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় যে কোনো সময় নতুন উৎস দিয়ে রক্তক্ষরণ হতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জে এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘সিসিইউ থেকে কেবিনে নেওয়া হলেও চিকিৎসকেরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক চিন্তিত। যে কোনো সময় তার অবস্থার পরিবর্তন হতে পারে। তাকে দ্রুত বিদেশ পাঠালে উন্নত চিকিৎসা সম্ভব।’

জানা গেছে, গত ১৩ নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তির দুদিন আগে অর্থাৎ ১১ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তার ওই আবেদন আইনি মতামতের জন্য পাঠানোর হয় আইন মন্ত্রণালয়ে। ২৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। আইনমন্ত্রী জানান, ‘আইন এবং পূর্বে এমন পরিস্থিতিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের নজির খুঁজছেন তিনি’।

৫ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ পাঠাতে ‘আইনি উপায়’খোঁজার কথা বলেছিলেন আইনমন্ত্রী। অবশেষে ২৮ ডিসেম্বর তিনি আইনি মতামত পাঠান স্বারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

ওইদিন বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার একটি চিঠি দিয়েছেন। আমরা দেখেছি এবং আইনমন্ত্রী সেটির ওপর মতামতও দিয়েছেন। আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত আমরা পর্যালোচনা করছি। তবে এ বিষয়ে আইনি কোনো সুযোগ নেই।

দুই মন্ত্রণালয় থেকে ‘না’ করার পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার ‘জীবননাশের ষড়যন্ত্র করছে সরকার’—এমন অভিযোগ করছে বিএনপি। আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের হুমকি দিয়ে আসছেন দলটির নেতারা।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। কেন সরকার তাকে বিদেশে যেতে দিতে চায় না? তারা আইনের কথা বলেন। আইনের মধ্যেই বলা আছে, সরকার চাইলেই তাকে এই মুহূর্তে বিদেশে পাঠাতে পারে। তিনি বলেন, ‘বাধা আইন নয়, বাধা হলো এই সরকার। সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে স্তব্ধ করে দিতে চায়। বেগম খালেদা জিয়ার অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হলে সরকারের প্রত্যেকেকে আসামি করে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow

This site uses cookies. By continuing to browse the site you are agreeing to our use of cookies & privacy Policy from www.prothom.news