খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসায় পাঠাতে সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে:গয়েশ্বর
বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর একটি মাত্র বাঁধা শেখ হাসিনা।

প্রথম নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে হলে আর ‘আকুতি না করে সরকারকে ধাক্কা দিতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
আজ শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন। সেগুন বাগিচায় সাগর-রুনি মিলনায়তে নাগরি অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে এই আলোচনা সভা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অতএব বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার জন্য তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর একটি মাত্র বাঁধা শেখ হাসিনা। তাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় রেখে এই প্র্রলাপ এই বিলাপ করে লাভ নাই। অফেন্স ইজ দি বেস্ট ডিফেন্স। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আকুতি না করে আমরা যদি সরকারকে ধাক্কা দেই তখন হয়ত বেসামাল হয়ে বলতে পারে- না না না ভাই, মাফ মাফ করো ছাইড়া দিলাম, ম্যাডাম যাক। আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে আমার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় আমার মনে হচ্ছে তাই।
গয়েশ্বর বলেন, ১৯৭৯ সালের শেখ মুজিবের মুক্তির আগে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে কেন্দ্র করে যখন একটা আন্দোলন চলছে ছাত্রদের…। তখন আইয়ুবের মতো লৌহ মানব শেখ মুজিবের সাথে আলোচনার প্রস্তাব দিলো প্যারোলের। হয়ত আওয়ামী লীগের নেতারা প্যারোলে সেই আলোচনার প্রস্তাব মেনে নেওয়ার জন্য প্রস্তত হলো। মাওলানা ভাসানী বললেন খামোশ, বন্দি মুজিবুর প্যারোলে সেই আলোচনায় অংশগ্রহন করতে পারে না। মাওলানা ভাসানী আন্দোলন করে তাকে নিঃশর্ত মুক্ত করলেন।সুতরাং আওয়ামী লীগের আন্দোলন করার ইতিহাস নাই, আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নাই্। মুক্তিযুদ্ধ যারা করেছেন তার ৮০ ভাগ কিন্তু সাধারণ আমজনতা।
‘‘ সেজন্য বলব, আন্দোলনের কোনো বিকল্প। বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে-আমরা বলি। অর্থাত দেশে আগুন জ্বলবে। তাহলে আপোষহীন নেত্রীর আপোষহীন কর্মীর পরিচয় আমাদেরকে দিতে হবে, আমাদের জয় করতে হবে, স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করতে হবে।কারণ বেগম খালেদা জিয়া আপোষহীন থেকে স্বৈরতন্ত্রকে পরাজিত করেছেন। একমাত্র বিএনপিরই দায়িত্ব স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রের পথে দেশকে ফিরিয়ে আনা।”
স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীনদের ‘ভরাডুবি’র চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, আপনাকে অনেকে বলেছেন, ঝিনাইদহতে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তৃতীয় লিঙ্গের আমরা যাকে হিজড়া বলি তার আওয়ামী লীগ বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছে, তার কোনো জামানত ছিলো না।দিস ইজ দি রিয়াল পিকচার অব দি কান্ট্রি। ইট ইজ দি ম্যাসেজ টু প্রাইম মিস্টার যে জনগন হিজড়া পছন্দ করে কিন্তু আওয়ামী লীগ পছন্দ করে না।সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর মাথা খারাপ হওয়ার কথা। সেজন্য তিনি জিয়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে টানাটানি করছেন।
আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ওলামা দলের আহবায়ক শাহ নেসারুল হক প্রমূখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: