আবারও বিক্ষোভকারীদের দখলে ইরাকের পার্লামেন্ট

কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ইরাকের পার্লামেন্টে ঢুকে পড়লো শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থক বিক্ষোভকারীরা

 আবারও বিক্ষোভকারীদের দখলে ইরাকের পার্লামেন্ট
 আবারও বিক্ষোভকারীদের দখলে ইরাকের পার্লামেন্ট-প্রথম নিউজ

প্রথম নিউজ, ডেস্ক : কয়েকদিনের ব্যবধানে আবারও নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ইরাকের পার্লামেন্টে ঢুকে পড়লো শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের সমর্থক বিক্ষোভকারীরা। শনিবারের (৩০ জুলাই) এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২৫ জন। এতে আরও উত্তপ্ত হয় উঠেছে দেশটির রাজনৈতিক পরিস্থিতি। খবর আল জাজিরার।

শনিবার বাগদাদে বেশিরভাগ বিদেশি দূতাবাস ও সরকারি কার্যালয় থাকা গ্রিন জোনের কংক্রিটের দেওয়াল ভেঙে ফেলে আল-সদরের কয়েক হাজার সমর্থক। পরে পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়ে তার।

এর আগে গত বুধবারও একই ধরনের বিক্ষোভ দেখিয়ে পার্লামেন্টে ঢুকেছিল সদরপন্থিরা। তবে শনিবারের ঘটনায় অন্তত ১০০ জন বেসামরিক নাগরিক ও ২৫ জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরাকি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আল-সদরের সমর্থকেরা পুলিশের দিকে ইট-পাথর ছুড়লে পুলিশও পাল্টা টিয়ারগ্যাস ও স্টান গ্রেনেড ছুড়ে তাদের প্রতিরোধের চেষ্টা করে। এক বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে ইরাকি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

আবু ফোয়াদ নামে এক বিক্ষোভকারী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, আমরা একটি দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানাচ্ছি… আর এগুলো জনতার দাবি।

সদরপন্থি বিক্ষোভকারীরা মূলত সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক প্রাদেশিক গভর্নর মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার বিরোধিতা করছে। সুদানিকে ইরাকের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য মনোনীত করেছে ইরানপন্থি কোয়ালিশন ফ্রেমওয়ার্ক।

আল-সুদানিকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের জন্য শনিবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। তবে গত বুধবার বিক্ষোভকারীদের তাণ্ডবের পর এই অধিবেশন বাতিল ঘোষণা করা হয়।গত বছর অক্টোবরের নির্বাচনে আল-সদরের জোট পার্লামেন্টে সর্বোচ্চ আসন পেলেও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছে বিবাদমান রাজনৈতিক দলগুলো। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে সেখানে প্রেসিডেন্ট বাছাই করতে হয়। আর নিয়ম অনুসারে, প্রধানমন্ত্রীর পদটি যায় ইরাকের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার কাছে।

তবে আলোচনা স্থগিত হওয়ার পর আল-সদর পার্লামেন্ট থেকে তার জোট প্রত্যাহার করে নেন এবং ঘোষণা দেন, তিনি আর সরকার গঠনের আলোচনায় থাকবেন না। এতে কয়েক ডজন আসন চলে যায় ইরানপন্থি শিয়া দলগুলোর জোট কোয়ালিশন ফ্রেমওয়ার্কের হাতে।

তবে আল-সদর এরপর থেকেই হুঁশিয়ারি দিয়ে আসছেন, তার অপছন্দের কোনো সরকারকে পার্লামেন্ট অনুমোদন দেওয়ার চেষ্টা করলে ইরাকে গণবিক্ষোভ শুরু হবে। তার বক্তব্য, নতুন সরকার হতে হবে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তির প্রভাব এবং দুর্নীতি থেকে মুক্ত।

Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel:

news.google.com

https://apps.apple.com/de/app/prothomnews/id1588984606?l=en

https://play.google.com/store/apps/details?id=com.prothomnews

https://youtube.com/prothom