হাতকড়া-ডান্ডাবেড়ি নিয়েই মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদল নেতা
মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরিয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি।

প্রথম নিউজ, অনলাইন : হাতকড়া আর ডান্ডাবেড়ি নিয়ে মায়ের জানাজা পড়লেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতা সেলিম রেজা। মায়ের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে গত রোববার রাতে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে নিজ বাড়ি শরিয়তপুরের সুজন দোয়াল এলাকায় জানাজায় উপস্থিত হন তিনি। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে সবার ছোট সেলিম রেজা।
সেলিম রেজার মা নাসিমা অসুস্থতাজনিত কারণে গত রোববার সকাল সাড়ে দশটায় মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর। স্বজনেরা জানান, শেষবার মাকে দেখতে ও মায়ের জানাজা নিজে পড়াতে আইনজীবীর মাধ্যমে রোববার সকালে জেলা প্রশাসক বরাবর প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেন সেলিম রেজা। ওইদিন বিকাল সাড়ে চারটা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত তিনি প্যারোলে মুক্তি পান তিনি । তবে তার মুক্তি নিয়েও টালবাহানা করা হয় বলে অভিযোগ করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাত পৌনে এগারোটায় দিকে পুলিশী পাহারায় মুক্তি দেয়া হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, প্যারোলে মুক্তি পেয়ে রাত তিনটায় শরিয়তপুরের বাসায় পৌঁছান সেলিম রেজা। সোয়া তিনটায় নিজ বাড়ির পাশে মায়ের জানাজাস্থলে উপস্থিত হন তিনি। জানাজায় এলাকার লোকজন ছাড়াও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল মৃধা, আরিফুল ইসলাম আরিফ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের সদস্য সচিব নিয়াজ মাহমুদ নিলয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সম্পাদক শাহরিয়র হাসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে চারটায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। পুরোটা সময় হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ছিলেন সেলিম রেজা। জানাজায় উপস্থিত ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ জানান, জানাজার সময়ও সেলিম রেজার হাতকড়া ও ডান্ডাবেড়ি খুলে দেয়া হয়নি। এতে জানাজায় উপস্থিত লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তবে এতেও কর্ণপাত করেনি প্রশাসন।
গত ৭ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির সিনিয়র নেতাসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজাকেও আটক করা হয়। ওই ঘটনায় করা পুলিশের মামলায় তিনি কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন। সেলিম রেজার সঙ্গে এ ধরণের আচরণের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: