ক্ষমতাসীন দলের ‘লুটপাটকারীদের লাভবান করাতেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি : খসরু
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে

প্রথম নিউজ, ঢাকা: ক্ষমতাসীন দলের ‘লুটপাটকারীদের লাভবান করাতেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
আজ শুক্রবার সকালে এক মানববন্ধনে তিনি এই অভিযোগ করেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-জেটেব এর উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম তারা বাড়িয়েছে। এই ডিজেলের কারণে সাধারণ মানুষের বাসভাড়া-টাস ভাড়া, দ্রব্যমূল্যসহ সব কিছুর দাম বাড়বে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশের কৃষকরা। যারা ডিজেলের মাধ্যমে কৃষি জমিতে সেচ দিয়ে থাকেন।ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে। আজকে দ্রব্যমূল্য বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি বলেন, বিদ্যুতের দাম বার বার বৃদ্ধি বলেন সব কিছু তারা (ক্ষমতাসীন) লুটপাট করছে, তারাই সরাসরি এই লুটপাটের সাথে জড়িত, এই লুটপাটকারীরাই লাভ হচ্ছে, লাভবান হবে।
দ্রব্যমূল্যসহ জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সরকারের সমালোচনা করে আমীর খসরু বলেন, ডিজেল প্রতি লিটারে ১৫ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। আপনি চিন্তা করতে পারে। এই টাকা তো সাধারণ মানুষের পকেট থেকে যাবে। এটা মূল্য বৃদ্ধির কাজটি তারা অব্যাহতভাবে করে যাবে, এটা বন্ধ হবে না। কারণ দেশে জনগণের কোনো সরকার নাই, এদের(সরকারের) কোনো দায় নেই, জবাবদিহিতা নেই। তারা লুটপাট করে এসব টাকা বিদেশে পাঁচার করছে। কোনো টাকা দেশে থাকছে না। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে একমাত্র পথ ওদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করা। সবাই মিলে এই সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এখন আন্দোলন করতে হবে,শুধু বিএনপি দায়িত্ব নয়, সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে, টোটাল মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে দেশকে মুক্ত করার জন্য।-বলেন তিনি।
সাবেক বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, আজকে যাদের দায়িত্ব দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করার তারাই লুটপাট করছে। বাংলাদেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটি চিত্র বিএনপির সময় থেকে আমরা তুলনা করি- একটা অবিশ্বাস্য চিত্র ফুটে উঠবে। কত গুন চালের দাম বেড়েছে, কত গুন ডালের দাম বেড়েছে, কত গুন তেলের দাম বেড়েছে, কত গুন বাসের ভাড়া বেড়েছে, ট্রাকের ভাড়া বেড়েছে, রিকশার ভাড়া বেড়েছে … প্রত্যেকটার পেছনে রাষ্ট্রীয় তহবিল লুটপাট করার একটা ইতিহাস আছে। তারা(সরকার) জনগনের কাছ থেকে ট্যাক্সের মাধ্যমে, বিএটির মাধ্যমে, উচ্চ দ্রব্যমূল্যের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে অর্থ লুট করছে। ট্যাক্স দিয়ে সাধারণ মানুষ কিন্তু রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ দিচ্ছে।এখন তারা জনগনের পকেট থেকে ট্যাক্সের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় তহবিল লুটপাটের একটা সুবন্দোবস্ত করেছে।
বিদ্যুতে দাম বৃদ্ধির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিদ্যুতের দাম যতবার বেড়েছে এই টাকাগুলো যারা বিদ্যুত কেন্দ্র চালাচ্ছে কুইক রেন্টাল, রেন্টাল খাতের মাধ্যমে সরকারের লোকজন তাদের পকেটে নিচ্ছে। এই সব বিদ্যুত কেন্দ্রগুলো বিদ্যুত উতপাদন না করে পয়সা পাচ্ছে। সরকার তাদের সাথে এমন একটা চুক্তি করেছে যে, বিদ্যুত উতপাদন না করলেও পয়সা পাবে। শুধু তাই না, সরকার এমন আইন করেছে কোনো মামলা করা যাবে না।”
আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে বলে মন্তব্য করে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আন্দোলনের দিকে যখন দেশ যায়, আন্দোলন যখন সফলতা পায়। সুতরাং সরকার পতনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
সংগঠনের সভাপতি ফখরুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, শামীমুর রহমান শামীম, কৃষক দলের সদস্য সচিব শহীদুল ইসলাম বাবুল প্রমূখ নেতৃবৃব্দ বক্তব্য রাখেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: