আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আ’ লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে: মির্জা ফখরুল
মানিকগঞ্জের বিজয় মেলা মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক সমাবেশে প্রধান অতিতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

প্রথম নিউজ,মানিকগঞ্জ: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা, তিন তিন বার নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশের সবচে জনপ্রিয় নেতা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজ জীবন-মরণ সন্ধিক্ষনে। সরকারের কাছে বার বার আবেদন করেও তাকে নি:শর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার্থে বিদেশে পাঠানো হচ্ছে না। গণতন্ত্রের মা হিসেবে পরিচিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দ্বায়-দ্বায়িত্ব বর্তমান বর্তমান সরকারকেই বহন করতে হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে আ’লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে মানিকগঞ্জের বিজয় মেলা মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত ঐতিহাসিক সমাবেশে প্রধান অতিতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির সফল সভাপতি আফরোজা খান রিতার সভাপতি অনুষ্টিত বিশাল সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বর্তমান সরকারের গণবিরোধী ও ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর (দক্ষিন) বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম। প্রধান বক্তা হিসেবে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনে জনগণের সরকার উপহার দেওয়ার প্রত্যয়ে অগ্নিঝড়া বক্তব্য তুলে ধরেন ৯০’র গণআন্দোলনের সাবেক ছাত্র নেতা ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক এস এ জিন্নাহ কবির, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ও জেলা বিএনপির প্রধান উপদেষ্টা প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম খান শান্ত, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি খন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য রোকসানা খানম মিতু সহ জেলা ও কেন্দ্রীয় বিএনপি’র নেতৃবৃন্দ।
মির্জা ফখরুল বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি ১৯৮২ সালে জনগণের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়া ঘর থেকে বেরিয়ে রাজপথে নেমে আসে। তার গণবান্ধব কর্মসুচীর সুফল হিসেবে মানুষ সত্যিকার ভোটাধিকার ফিরে। ফিরে আসে গণতন্ত্র। কিন্তু শেখ হাসিনা ভোট চুরির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে রাষ্টের সবকটি অর্গান ধ্বংস করে দেয়। ঘোষনা দেয় জনগণকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দেবে, বিনা পয়সায় কৃষককে সার ও বেকারদের চাকুরী দেবে। তিনি বলেন জনগণের সাথে প্রতারণা করে বেশী দিন ক্ষমতায় থাকা যায় না। এখন সময় এসেছে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করে বর্তমান সরকারকে ক্ষমতা থেকে টেনে-হেঁচড়ে নামানোর। তাই আপনারা রাজপথে নেমে আসুন।
তিনি আরও বলেন,আ’লীগ সরকার জোর করে ক্ষমতায় এসে বিএনপি’র ৩৫ লক্ষ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে , গুম করেছে ইলিয়াস আলী সহ অনেক নেতাকর্মী। যা বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি যাপর নেই বিনষ্ট হয়েছে। তাই আ’লীগের সময় শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, লাখো মানুষের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। অথচ সরকার বিএনপির জনপ্রিয়তার ভয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিচ্ছে না। বিদেশে চিকিৎসার ও সুযোগ দিচ্ছে না। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ভয় পাচ্ছে আ’লীগ। বেগম খালেদা জিয়াকে নি:শর্ত মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত জনগণকে নিয়ে রাজপথে থাকবে বিএনপি। সমমাবেশে ৭টি থানা ও ২টি পৌর ইউনিটের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমাবেশে যো দেন।
Download করুন আমাদের App এবং Subscribe করুন আমাদের YouTube Channel: