আ. লীগ বা তার কোনো সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে: আসিফ নজরুল

প্রথম নিউজ, অনলাইন: আওয়ামী লীগ বা দলটির কোনো সহযোগী সংগঠন নিষিদ্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে একটি গণমাধ্যমকে এই কথা জানান তিনি।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সমাজে প্রবলভাবে রয়েছে। গণ–অভ্যুত্থানকালে গণহত্যার পরও তাদের মধ্যে অপরাধবোধের অনুপস্থিতি, ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন হীন কর্মকাণ্ড ও পলাতক শেখ হাসিনার চরম উসকানিমূলক বক্তব্য দেখার পর এই দাবি সমাজে আরো সোচ্চারভাবে উচ্চারিত হচ্ছে।
তাই আওয়ামী লীগ বা এর কোনো কোনো অঙ্গসংগঠনকে নিষিদ্ধ করার সম্ভাবনা রয়েছে।’
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিচার ও দলটি নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অবস্থান কর্মসূচি আজও টানা চলছে।
শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে এনসিপির কয়েক শ নেতা-কর্মীকে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। স্লোগানে মুখর ওই এলাকা।
এতে এনসিপিসহ বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠন যোগ দিয়েছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা মামলার আসামি হলেও বুধবার রাতে দেশত্যাগ করেন সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এরপরই আবারো আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি।
বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পরপরই প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনের রাস্তায় অবস্থান নেন বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। স্লোগানে স্লোগানে সোচ্চার হয় জুলাই-অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেন জুলাই অভ্যুত্থানের আহতরাও। অন্তবর্তী সরকারের কর্মকাণ্ডে হতাশা জানান তারা। মতপার্থক্য থাকলেও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে সবাই একমত বলে মন্তব্য করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। আমরা সরকারের বাইরে এবং ভেতরে সেই দাবি বলেছি। কিন্তু আজকে নয় মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের জন্য আমাদের আবার রাজপথে নামতে হয়েছে।
অবস্থান কর্মসূচিতে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। এ ছাড়া ছাত্র শিবির, এবি পার্টির নেতা–কর্মীরাও সেখানে উপস্থিত হন। জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগের বিচার, নিবন্ধন বাতিল ও দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন বিক্ষুব্ধরা।