গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব বাস্তবতাবিবর্জিত-অন্যায্য

প্রথম নিউজ, অনলাইন: স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের গণমাধ্যম নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে সংগ্রাম করে টিকে আছে। এখানের গণমাধ্যম আর্থিক সংকট, গুণগত মান ও পেশাদারির দিক থেকে এখনো বিশ্বমানে উন্নীত হতে পারেনি। ফলে একে বস্তুনিষ্ঠ, স্বচ্ছ, জবাবদিহি ও বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের চাওয়া অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী।
গণমাধ্যমকে পরিণত, আধুনিক ও উন্নত মানসম্পন্ন স্তরে নিয়ে যেতে গঠিত সংস্কার কমিশন সম্প্রতি নানা সুপারিশ ও প্রস্তাবসহ প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
এর কিছু কিছু প্রস্তাব অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য। তবে বেশ কিছু প্রস্তাব গণমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত অনেককে বিস্মিত, শঙ্কিত ও ভীত করেছে। অনেক ক্ষেত্রে মনে হয়েছে, কমিশনের কিছু প্রস্তাব বাস্তবতাবিবর্জিত, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যায্য ও অপ্রাসঙ্গিক।
সময়ের সঙ্গে পারিপার্শ্বিকতার সার্বিক চিত্র বিবেচনা না করে এমনভাবে সুপারিশ করা হয়েছে যে মনে হতে পারে বাংলাদেশ একটা কাল্পনিক রাজ্য! তথ্য-প্রযুক্তি, ভার্চুয়াল জগৎ, এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে তারা এসব উপেক্ষা করে সেই ট্রিপিক্যাল ধ্যান-ধারণাই তুলে ধরেছে।
তাদের কিছু প্রস্তাব এমন যে এতে পুরো মিডিয়ায় ভাঙন ধরবে অবধারিতভাবে। হাজারো সংবাদকর্মী চাকরি হারাবেন। এক ঝটকায় বন্ধ হয়ে যাবে বেশির ভাগ গণমাধ্যম।
উদ্যোক্তারাও হতাশ ও মর্মাহত।
অর্থনৈতিক এ বিপর্যস্ত সময়ে লোকসানি গণমাধ্যম টেনে নিয়ে যাওয়া ‘ক্লান্ত’ উদ্যোক্তারা সব বন্ধ করে দিয়ে পালানোর পথ খুঁজবেন হয়তো! কমিশনের প্রতিবেদন দেখে এমনো মনে হওয়া অস্বাভাবিক নয় যে এটি তৈরির পেছনে একটি স্বার্থান্বেষী চক্র কলকাঠি নাড়ছে।